ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি সমর্থকরা আওয়ামী লীগের এক পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এই বিরোধের মূল কারণ দীর্ঘদিনের গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হওয়া দ্বন্দ্ব।
তালেবান গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. সাহিদুজ্জামান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল হাবিবুর রহমান পেঁয়াজের জমি দেখতে গ্রামে আসলে সাহিদুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালান, পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা হাবিবুর রহমানের পক্ষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে ৫-৬টি বসতবাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মো. সাহিদুজ্জামান অভিযোগ করেন, মো. হারুন মাতুব্বর এবং তার সমর্থকরা বিএনপির লোকদের হামলা করে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও হামলা করেছেন। তবে হারুন মাতুব্বর জানিয়েছেন, হাবিবুর রহমান একজন নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগার এবং তার ওপর হামলার পর এলাকাবাসী প্রতিহত করেন, যার ফলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং এলাকাটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।